আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ, আরবী এবং ফজিলত সমুহ | Ayatul Kursi Bangla and Arabic with Fajilat: কুরআন মাজীদের সর্বমহান আল্লাহ তায়ালার মর্যাদা বর্ণিত আয়াত না আয়াতুল কুরসী । (Ayatul Kursi Bangla) আয়াতুল কুরসী হচ্ছে সূরা আল বাক্বারাহ’র ২৫৫ নাম্বার আয়াত। আয়াতুল কুরসীতে আল্লাহ তায়ালা যা বর্ণিত করেছেন (আল্লাহ্’র শ্রেষ্ঠত্ব-মাহাত্ম্য,জ্ঞান-গরিমা) তা কুরআনের অন্য কোনো একটি আয়াতেও বর্ণিত হয় নি; বরং আল্লাহ তা‘আলা সূরা হাদীদের শুরুতে এবং সূরা হাশরের শেষে একাধিক আয়াতে তা বর্ণনা করেন, তাই আয়াতুল কুরসি আল কুরআনের সর্বমহান আয়াত বলা হয়।
তাহলে এখানে আমরা দেখব: আয়াতুল কুরসি (Ayatul kursi bangla Uccharon, Anubad) ফজিলত সাথে আমরা হাদিস এর আলোকে এর ফজিলত সম্মন্ধে জানতে পারবেন। তাই ধেরি না করে নিচের দিকে দেখুন। আপনার পছন্দের আয়াত, যার নাম আয়াতুল কুরসি। আর এর ফজিলত নিয়ে বর্ণনা করা আমাদের সাধ্য নেই। কারন এই আয়াত এর মর্যাদা এত বিশাল যা বলা বাহুল্য। তাহলে বন্ধুরা আমরা নিচের দিকে যাই–
Ayatul Kursi Bangla Uccharon – আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ
Ayatul Kursi Bangla Uccharon: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, আল্লাহু লা -ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূম, লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম, লাহু মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্ব, মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদা — -হূ ইল্লা বিইযনিহ, ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খলফাহুম, ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমি — হী ইল্লা বিমা শা — আ, ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব, ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা, ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযী-ম ।
Ayatul Kursi English Uccharon: Bismillahir Rahmanir Raheem, Allahu la -ilaha illa huwal hayyul qayyum, la ta’khujuhu sinatoon wala naum, lahu ma-fissama-wa-ti wama fil ardw, man jallazi yashfa’u ‘indahu illa biyejnih, ya’lamu ma Bayna aidihim wama khalfahum, wala yuhithuna bishaiim min elmi hi illa bima sha a, wasi’a kursiyuhus sama-wa-ti wal ardw, wala yaduhu hifuyuhuma, wa hual ‘Aliyul ‘azi-m.
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ, আরবী – Ayatul Kursi Bangla anubad and Arabic with Meaning
আমরা এখানে (Ayatul Kursi Bangla anubad) অর্থ এবং উচ্চারণ সাথে কোরআনে নাজিলকৃত সূরাতুল বাকারা এর ২৫৫ নাম্বার আয়াত দেয়া আছে, Ayatul Kursi Bangla anubad পড়ে মুখস্ত করে নিন কাজে লাগবে , আল্লাহ আপনাকে এই আয়াতের বদলে হতে পারে জান্নাত প্রদান করে দেন. তবে দোয়া করি। তাহলে নিচে দেখুন Ayatul Kursi Bangla anubad and Arabic anubad অর্থ ও উচ্চারণ :
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
- যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি ।
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ
- উচ্চারণঃ- আল্লাহু লা…ইলাহা ইল্লা হুওয়াল..হাইয়্যূল-কাইয়্যূম.
- অর্থঃ- আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ
- উচ্চারণঃ- লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম
- অর্থঃ- যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক।
لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ
- উচ্চারণঃ- লাহু মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্ব
- অর্থঃ- কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও বা অতিক্রম করতে পারে না।
مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ
- উচ্চারণঃ- মানযাল-লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহ
- অর্থঃ- আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন।
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ
- উচ্চারণঃ- ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খলফাহুম
- অর্থঃ- তাঁর হুকুম ব্যতিত (অর্থাৎ আল্লাহ তাঁয়ালার হুকুম) এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুপারিশ করতে পারে? তাদের সামনে ও পিছনে, যাহা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন।
وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ
- উচ্চারণঃ- ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমি — হী ইল্লা বিমা শা — আ
- অর্থঃ- তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত।
وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ
- উচ্চারণঃ- ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব
- অর্থঃ- তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন বা ঘেরাও করে আছে।
وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا
- উচ্চারণঃ- ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা
- অর্থঃ- সেগুলি সংরক্ষণ করতে তার ক্লান্তি নেই
وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
- উচ্চারণঃ- ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযী-ম ।
- অর্থঃ- তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।
আয়াতুল কুরসির অর্থঃ- Meaning of Ayatul Kursi Bangla
Meaning of Ayatul Kursi Bangla: “আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও বা অতিক্রম করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত (অর্থাৎ আল্লাহ তাঁয়ালার হুকুম) এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুপারিশ করতে পারে? তাদের সামনে ও পিছনে, যাহা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন বা ঘেরাও করে আছে। সেগুলি সংরক্ষণ করতে তার ক্লান্তি নেই। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৫৫]
এই পুরো আয়াতটিই আল্লাহর একত্ববাদ ও মর্যাদার গুণগান বিধায় আল্লাহ এ আয়াতের মধ্যে অনেক ফজিলত রেখেছেন। সুতরাং বেশি বেশি আয়াতুল কুরসী পড়ুন , আল্লাহ্’র ইবাদত করুন, রাসূল(সাঃ) এর দেখানো পথে চলুন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আয়াতুল কুরসির আমল করার এবং কুরআন অনুযায়ী জীব্ন যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আয়াতুল কুরসির ফজিলতঃ- Ayatul Kursi Bangla Fojilot
এখানে আমি সংক্ষিপ্ত করে Ayarul Kursi Banglay Fojilot প্রদান করছি, যা ১০০% পরিক্ষিত, আপনি আমল করেন ফল ইনশা আল্লাহ পাবেন।
১. জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
২. রিযিক বৃদ্ধি পাবে।
৩. মনের বাসনাপূর্ন হয়।
৪. বাইরে কারো মুখাপেক্ষী হবে না।
৫. রূহ (আত্মা) অতি সহজে কবয করা হবে।
৬. ইনশাল্লাহ্ সকল কাজে জয়লাভ করা যায়।
৭. যে ঘরে পাঠ করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পালায়ন করে।
৮. বেহেস্তে প্রবেশের পথে মৃত্যু ব্যতিত আর কোন বাধা থাকে না।
৯. রিযিক বৃদ্ধি পায়, চোর-ডাকাত প্রবেশ করতে পারেনা ও অগ্নিদাহ হয় না
১০. মনে এক আশ্চর্যভাবের উদয় হয় এবং ঔ সময় পাঠকারীর দোয়া কবুল হয়।
১১. রাতে একাকী পথ চলার সময় এই আয়াত পাঠ করতে থাকলে দেও, জীন, পরী, ভূত, প্রেত ইত্যাদি কাছে আসতে পারেনা।
আয়াতুল কুরসির আমল – Ayatul Kursi Amol
এখানে যে আমল সমুহের কথা বলা হবে, তা আপনি কয়েকদিন এই আমল যদি করতে পারেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনি যে নিয়ত করে Ayatul Kursi পাঠ করেছেন। অবশ্যই আপনি ফল পাবেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
১. শুক্রবার আসরের নামাযের পর নির্জন স্থানে বসে এই আয়াত ৭ বার পাঠ করলে মনে এক আশ্চর্যভাবের উদয় হয় এ ঔ সময় পাঠকারীর দোয়া কবুল হয়।
২. ক্রমান্নয়ে ৩১৩ বার পড়লে ইনশাল্লাহ্ সকল কাজে জয়লাভ করা যায়।
৩. যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর ১ বার পড়বে তার রিযিক বৃদ্ধি পাবে।
৪. হযরত রাসূল (স:) এর ইন্তেকালের সময় হযরত আযরাঈল (আ:) বলেছেন, আপনার উম্মতের মধ্যে যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর ১ বার পড়বে, আমি তার রূহ (আত্মা) অতি সহজে কবয করব।
৫. নাসায়ী শরিফে বর্নিত আছে, নবী (স:) বলেন, যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর নিয়মিত ১ বার আয়াতুল কুরসী পড়বে তার জন্য বেহেস্তে প্রবেশের পথে মৃত্যু ব্যতিত আর কোন বাধা থাকবে না।
৬. ঘর হতে বাহির হওয়ার সময় এই আয়াত পড়ে বের হলে কারো মুখাপেক্ষী হবে না।
৭. আবু হুরায়রা (র:) বর্ননা করেন, রাসূল (স:) ইরশাদ করেছেন এ আয়াতটি যে ঘরে পাঠ করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পালায়ন করে।
৮. রাতে একাকী পথ চলার সময় এই আয়াত পাঠ করতে থাকলে দেও, জীন, পরী, ভূত, প্রেত ইত্যাদি কাছে আসতে পারেনা।
৯. দৈনিক ৫০ বা ১৭০ বার পড়লে মনের বাসনাপূর্ন হয়।
১০. ৫০ বার পড়ে বৃষ্টির পানির উপর ফুক দিয়ে খেলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
১১. ঘর, বাগান ও দোকানের প্রবেশ দরজায় এই দোয়া লিখে ঝুলিয়ে রাখলে রিযিক বৃদ্ধি পায়, চোর-ডাকাত সেখানে প্রবেশ করতে পারেনা ও অগ্নিদাহ হয় না।
আবু যর যুনদুব ইবনে জানাদাহ (রা.) বলেন: আমি নবী (সা.) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি আল্লাহ তাঁয়ালা নাজিল করেছেন? রাসূল (সা.) বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। (ইবনে নাসায়ি)
আয়াতুল কুরসি পাঠের বিশেষ চার ফজিলত হাদিসের ভাষায়
১. হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকে না। (নাসাঈ)
২. হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় থাকে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি শোয়ার আগে পড়বে আল্লাহ তার ঘর, প্রতিবেশীর ঘর এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। (বায়হাকি)
৩. হজরত উবাই বিন কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মাজিদের কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা-ইল্লা হুআল্ হাইয়্যুল-কাইয়্যুম) তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিজ হাত তার বুকে রেখে বলেন, আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। (মুসলিম)
৪. আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সুরা বাকারার মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যে আয়াতটি পুরো কোরআনের নেতাস্বরূপ। তা পড়ে ঘরে প্রবেশ করলে শয়তান বের হয়ে যায়। তা হলো ‘আয়াতুল কুরসি’। (মুসনাদে হাকিম)
Recent Posts
- 💗 TakaPay Card – এবার বিদেশী কার্ডের দিন শেষ, টাকা পে কার্ড এর বাংলাদেশ ! 💗
- কিভাবে www Land gov bd 2024 এর মাধ্যমে জমির খতিয়ান, মৌজা ম্যাপ যাচাই ও ই-নামজারি করবেন?
- NID gov bd 2023 সাইটে কিভাবে NID BD Card যাচাই, ও নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন ? nid bd Login
আয়াতুল কুরসি নিয়ে হাদিসে বর্ণিত ঘটনা
সহিহ বুখারী ও মুসলিমসহ হাদিসের অন্যান্য কিতাবে এ প্রসঙ্গে একটি দীর্ঘ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হাদিসের বর্ণনাকারী হজরত আবু হুরায়রা রা. এবং হাদিসে বর্ণিত এই ঘটনাটি ও তার সঙ্গেই সংঘটিত হয়েছে ।
ঘটনাটি হলো- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার হজরত আবু হুরায়রা রা.-কে জাকাতের সম্পদ দেখাশোনা ও পাহারা দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত করলেন। তিনি মুসলমানদের থেকে উসুল করা জাকাতের সম্পদ দেখাশোনা করতেন। এক রাতে লক্ষ করলেন, এক বৃদ্ধ সেখান থেকে খেজুর তুলে খাচ্ছে। হজরত আবু হুরায়রা রা. তাকে পাকড়াও করলেন। লোকটি ছোটার জন্য কাকতি-মিনতি শুরু করল।
আবু হুরায়রা রা. বললেন, তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিয়ে যাবো।
লোকটি বলল, আমি ক্ষুধার্ত ও অসহায়। আমার পরিবার-পরিজন আছে। দারিদ্র্যের মাঝে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি।
লোকটির কথায় হজরত আবু হুরায়রা রা.-এর মন গলে গেল। তিনি লোকটিকে ছেড়ে দিলেন। আল্লাহ তায়ালা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঘটনা জানিয়ে দিয়েছিলেন। সকালে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তিনি বললেন, আবু হুরায়রা, তোমার গতকালের বন্দীর কী খবর? হজরত আবু হুরায়রা রা. বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, লোকটি নিজের ও পরিবারের অসহায়ত্ব ও দারিদ্র্যের অভিযোগ করেছে। এ জন্য আমার দয়া হয়। তাই তাকে ছেড়ে দিই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে। সে আবারো আসবে।
আবু হুরায়রা রা. রাসূলের কথা শুনে সে লোকটির অপেক্ষায় রইলেন। সে আবার এলো। আগের মতোই খেজুর খেতে লাগল। আবু হুরায়রা রা. পাকড়াও করলেন। সে আগের মতোই কাকতি-মিনতি করতে থাকে এবং নিজের ও পরিবারের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে। এবারো তিনি সদয় হয়ে ছেড়ে দিলেন। পরদিন সকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরায়রা, তোমার বন্দীর খবর কী?
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, সে কাকতি-মিনতি করেছে বিধায় তাকে ছেড়ে দিয়েছি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবারো বললেন, সে আবার আসবে।
তৃতীয় রাতে চোর আবার এলো। এবার আবু হুরায়রা রা. তাকে খুব ভালোভাবে পাকড়াও করলেন। বললেন, এবার তোমাকে অবশ্যই রাসূলের দরবারে হাজির করব। তোমার কথামতো তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি। তুমিও বারবার ফিরে আসছো। এবার আর ছাড়া পাবে না।
অবস্থা বেগতিক দেখে বলল, আমাকে এবার ছেড়ে দিন। আমি আপনাকে একটি আমল শিক্ষা দেবো, আপনার অনেক ফায়দা হবে। আবু হুরায়রা রা. জিজ্ঞেস করলেন, সেটা কী?
লোকটি বলল, রাতে আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করে ঘুমাবেন। এ আয়াত তেলাওয়াত করে ঘুমালে আল্লাহ তায়ালাই হবেন আপনার হেফাজতকারী। আপনার কাছে কোনো শয়তানও আসতে পারবে না।
পরদিন সকালে নবীজী আবু হুরায়রা রা.-কে রাতের বন্দী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, গত রাতে সে আমাকে একটি আমল শিখেয়েছে তাই তাকে ছেড়ে দিয়েছি।
-কী আমল?
-সে আমাকে রাতে শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করে ঘুমাতে বলেছে। এতে আল্লাহ তায়ালা আমাকে সকাল পর্যন্ত হেফাজত করবেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা শুনে বললেন, সে তোমাকে সত্যই বলেছে, যদিও সে মহা মিথ্যাবাদী।
এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরায়রা, তুমি কি জানো, তিন রাত ধরে তোমার সঙ্গে কার সাক্ষাৎ হচ্ছে?
-না, তা তো জানি না!
-সে ছিল শয়তান।-সহিহ বুখারী : ২৩১১।
এ ঘটনা থেকে জানা গেল, রাতে আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করে ঘুমালে আল্লাহ তায়ালা সকল বালা-মসিবত থেকে হেফাজত করবেন। চোর-ডাকাত থেকে রক্ষা করবেন। শয়তান ও দুষ্ট জিনের ক্ষতি থেকেও নিরাপদ রাখবেন। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে এ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আশা করি আজকের এই আয়াতুল কুরসি কিছু মর্যাদা সম্মন্ধে জানতে পেরেছেন, আর সেই উপকৃত হবে, যে আজকের পর থেকে আমল করা শুরু করে দেবে। আর সাথে দোয়াতে সকল মুমিন মুসলমানদের শরিক রাখবে। ইনশা আল্লাহ সেই উপকৃত হবে।
এই রকম আরো পেতে আপনি আমার সোসিয়াল মেডিয়াতে জয়েন হতে পারেন, এবং আজকের এই পোষ্ট শেয়ার করেন তাহলে শেয়ার করুন আপনাদের বন্ধুদের মাঝে, ফলো করুন আমার ফেইসবুকে, ইনস্টাগ্রামে, টুইটার থাকলে ফলো করতে পারেন, আর চাইলে ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। ধণ্যবাদ
Related Keyword: ayatul kursi bangla,ayatul kursi,ayatul kursi bangla uccharon,ayatul kursi bangla anubad,ayatul kursi 100 times,ayatul kursi bangla translation,ayatul kursi surah,ayatul kursi bangla meaning,ayatul kursi bangla lekha,ayatul kursi bangla sura,ayatul kursi bangla tafsir,ayatul kursi tilawat,ayatul kursi full,ayatul kursi shikkha,ayatul kursi bangla song,ayatul kursi bangla uchcharon,ayatul kursi dua,ayatul kursi beautiful recitation,ayatul kursi repeated